শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ন
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে পবিত্র কোরআন শরীফ। এই মহা গ্রন্থের একটি অক্ষরও আগুন স্পর্শ করেনি।
বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঝালকাঠির যুব প্রধান জনাব মশিউর রহমান শাহিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে আমরা যখন উদ্ধার কাজ করছিলাম, তখন একটি সম্পূর্ণ অক্ষত রয়েছে পবিত্র কোরআন শরীফ দেখতে পাই আমরা তার পড়ে উদ্ধার করে দিয়াকুল গ্রামের একজন মুসল্লীকে দিয়ে কোরআন শরীফটি পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে পাঠিয়ে দিয়েছি ।
তিনি বলেন,এমন ঘটনায় অবাক সকলে। এত ক্ষয়ক্ষতির মাঝেও অক্ষত রয়ে গেছে পবিত্র কোরআন,এমন অলৌকিক ঘটনা দেখে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছে।
দিয়াকুল গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা লুৎফর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ আছে অনেকেই। আর আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে লঞ্চে থাকা সব জিনিসপত্র ভস্মীভূত হয়। কিন্তু পবিত্র কোরআন শরীফ সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লঞ্চে পবিত্র কোরআন শরীফ ছিল। অন্যান্য জিনিসপত্র কয়লা হয়ে গেলেও আগুনের লেলিহান শিখা কোরআন শরীফের একটি অক্ষরও স্পর্শ করেনি। আগুনে কোরআন শরীফের সাদা অংশ কিছুটা কালচে দাগ হয়েছে। অক্ষত পাওয়া পবিত্র কোরআন শরীফটি দেখতে উৎসক জনতা ভিড় জমায়।
স্থানীয় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলেন, আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার পবিত্র গ্রন্থ হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ঘটনাই তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এই শিক্ষার্থী।
এ স্থানীয় একই গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী শাহাদাত হোসেন বলেন, কোরআন শরীফটি আমাদের মসজিদে রেখে দেয়া হয়েছে। তবে লঞ্চ এ কোরআন শরীফ টি কে রেখেছিলো সে তথ্য পাওয় যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ চার দিন পর সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার কিস্তাকাঠি এলাকায় বিষখালী নদী থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যদেরা।